ভূমিকা : মিশরের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে সাদ জগলুল পাশার নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী এক প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। জাতির মহাদুর্দিনে আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে আসেন এক নতুন রাজনৈতিক ব্যক্তি জগলুল পাশা। তিনি ১৯১৯ সালের প্রথম দিকে ওয়াফাদ পার্টির নামে একটি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ভূমিকা পালন করে। তার এ ওয়াফদ পার্টি মিশরের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ।
→ ওয়াফদ পার্টি : সাদ জগলুল পাশা ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য উপলব্ধি করেন যে, যদি তার নেতৃত্বে জন সমর্থন লাভ করে কোনো প্রতিনিধি দল পরিচালিত করতে হয় তাহলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ স্বীকৃত একটি অফিসিয়াল ন ডেলিগেশন গঠন বাঞ্চনীয়। তিনি বুঝতে পারেন যে, অফিসিয়াল ডেলিগেশন গঠনের ফলে সরকার বা সুলতানের তরফ থেকে অন্য কোনো প্রতিনিধি দল প্রেরণের সম্ভাবনা থাকবে না । উপরন্তু সর্বজন সমর্থিত অফিসিয়াল ডেলিগেশনের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার আলাপ-আলোচনায় বসতে রাজী হবে। অতঃপর ১৯১৮ সালের ১৩ নভেম্বর ওয়াফদ পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। স্থায়ী প্রতিনিধি দলটি আল ওয়াফদ আল মিশর নামে পরিচিত। অথবা, মিশরীয় ডেলিগেশন নামে পরিচিত।
ওয়াফদ পার্টির সংবিধান : এই প্রতিনিধি সভার পূর্ববর্তী আইন সভার দু'একজন সদস্য ব্যতীত প্রায় সকলেই সভ্য ছিল । এ ওয়াফদ পার্টির সংবিধানে দুটি অনুচ্ছেদ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দিন। যথা :
১. এই দলের প্রধান লক্ষ্য হলো ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আইনসঙ্গত এবং শান্তিপূর্ণভাবে মিশরের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন।
২. এই দলের প্রধান শক্তি হচ্ছে জনসমর্থন। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দরখাস্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকার ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ৩ ধরনের কার্যব্যবস্থা বন্ধের জন্য মন্ত্রণালয়কে চাপ দেয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মিশরের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সাদ জগলুল পাশার অবদান অনস্বীকার্য। তার প্রতিষ্ঠিত ওয়াফদ পার্টি মিশরের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল না হলেও গণপ্রতিনিধিত্ব দ্বারা ওয়াফদ পার্টি সৃষ্টি মিশরের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত।