ভূমিকা : কার্ল মার্কস ছিলেন আধুনিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা। তিনি তার মতাদর্শ প্রচার করার সময় বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে ১৮৬৭ সালে প্রকাশিত "Das Kapital" গ্রন্থটি সর্বশ্রেষ্ঠ। এই গ্রন্থটি কার্ল মার্কসের লেখা পুঁজিবাদীদের সমালোচনামূলক একই বই। সমাজ প্রগতির সাথে অর্থনীতির জটিল সম্পর্কে মার্কসবাদের প্রধান অংশ। কার্ল মার্কস তাঁর এই গ্রন্থটি রচনা করে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
দাস ক্যাপিটাল (Das Kapital) : Das Kapital ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হলো পুঁজি। এটি কার্ল মার্কসের লেখা পুঁজিবাদের সমালোচনামূলক একই বই। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৭ সালে। এটি কার্ল মার্কসের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি | তিনটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৭ সালে, দ্বিতীয়টি ১৮৮৫ ও তৃতীয়টি ১৮৯৪ সালে। এই গ্রন্থটিকে সমাজতন্ত্রীদের বাইবেলরূপে গ্রহণ করা হয়।
Das Kapital গ্রন্থে মার্কস যে ধারণাগুলোর উপর আলোচনা করেন সেই ধারণাগুলোর সনাতন অর্থনীতিবিদদের সূত্রেই নেওয়া। যদিও তিনি এগুলো ব্যবহার করেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করতে। বিনিময়, উৎপাদন, মূল্য, শ্রম, শ্রমের সামর্থ্য বা ক্ষমতা, শ্রমবিভাগ, বিসুক্তি, সম্পত্তি, মুনাফা প্রতিটি ধারণাকেই মার্কস উপস্থিত করেছেন। এ বিষয়ে অর্থনীতির প্রবক্তাদের বা ব্যাখ্যাকারদের বক্তব্য দিয়ে এবং এরপর প্রতিটি বিষয়ের উপর নিজস্ব মতবাদ উপস্থিত করে প্রচলিত মতকে খণ্ডন করেছেন।
Das Kapital গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে কার্ল মার্কস বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েতের সম্পর্কের বিষয়বস্তু গভীরভাবে তুলে ধরেন তাছাড়া এই গ্রন্থ তিনি নতুন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জোরালো অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একজন অবিসংবাদিত আন্দোলনের নেতা হিসেবে কার্ল মার্কসের ‘Das Kapital' গ্রন্থটি সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এই গ্রন্থে পুঁজিতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই গ্রন্থের জন্য ১৯১৭ সালে রাশিয়াতে রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয় । সর্বোপরি বলা যায়, তার গ্রন্থের ভূমিকা অনেক ।