ভূমিকা : রাশিয়ার জার শাসনামলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল নারোদনিক আন্দোলন। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের শাসনামলে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। নারোদনিক আন্দোলন ছিল মূলত রাশিয়ার যুবকদের ধ্বংসাত্মক আন্দোলন ।
→ নারোদনিক আন্দোলন : রাশিয়ার জার শাসনামলের আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আন্দোলন হলো নারোদনিক আন্দোলন । ষাটের দশকে যে নিহিলিস্ট আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নারোদনিক আন্দোলনের রূপ ধারণ করে। নারোদ শব্দটি রুশ শব্দ এর অর্থ হচ্ছে জনসাধারণ। অর্থাৎ নারোদনিক আন্দোলন ছিল জনসাধারণের আন্দোলন। রাশিয়ার বুদ্ধিজীবীগণ যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেন তাতে জনগণের নজর কাড়ে। জনগণ আন্দোলনে একাত্বতা ঘোষণা করে । আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই ছিল যুবক। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরিবর্তে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ আন্দোলন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের রূপ নেয় । সেটি সন্ত্রাসবাদ আন্দোলন নামে খ্যাতি লাভ করে। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন এম.এ বাকুনিন। বাকুনিনের অনুসারীরা রাশিয়ার বিভিন্ন বড় বড় শহরগুলোতে বিশেষ করে মস্কো, কিয়েভ, সেন্ট পিটার্সবার্গ প্রভৃতি শহরে শ্রমিকদের মাঝে আন্দোলনের বীজ বপন করে। ফলশ্রুতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নৈরাজ্য ও জঙ্গীবাদ আন্দোলনে পরিণত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নারোদনিক আন্দোলন রাশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই আন্দোলনের সময় সমগ্র রাশিয়া একটি নৈরাজ্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়। রাশিয়ার জার শাসনের পরিসমাপ্তিতে নারোদনিক __আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।