ভূমিকা : ১৯৪৬ সালের ১৬ মে মূলত মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা পেশ করা হয়। মূলত ব্রিটিশ আসন শুরু হওযার পর নর থেকেই ভারতীয়রা নানা দাবিতে আন্দোলন করতো। এসব আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকার নানা আইন প্রণয়ন করতেন। যার -৫ মধ্যে সর্বশেষ পরিকল্পনাই ছিল ১৯৪৬ সালের মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা মে তবে বেশি কিছু কারণে এ পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
→ মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার কারণ : নিম্নে মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার কারণসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা : এ পরিকল্পনায় দেশীয় ল রাজ্যগুলোতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কোনো ড. ব্যবস্থা করা হয়নি, বরং ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্বে তাদের উপর ক্ত ব্রিটিশ সর্বময় কর্তৃত্বের অবসান ঘটানোর কথা বলা হয়। মূলত । ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনায় নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল অগণতান্ত্রিক ।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা : দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের মূল কারণ হলো কেবিনেট মিশন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সীমিত ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু সেসময় প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের। যার ফলে এ পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
৩. গণপরিষদ অসার্বভৌম : এ পরিকল্পনায় যে গণপরিষদ গঠন করা হয় তা ছিল অসার্বভৌম ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হলে গণপরিষদে গঠিত সংবিধান কার্যকর হতো না। আর এ অসার্বভৌমত্বের কারণেই এটা ব্যর্থ হয় ।
৪. বিভাজন নীতিতে ত্রুটি : জনগণের মতামত ব্যতীত এ পরিকল্পনায় ভারতকে ৩টি ভাগে ভাগ করার কথা বলা হয়। যার ফলে একধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। আর এ জটিল বিভাজন নীতিই ছিল এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ ।
৫. অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে ত্রুটি : ক্যাবিনেট মিশন অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য কোনো সুব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, বরং তা ১৯৩৫ সালের সাংবিধানিক নীতি চালু রেখেছিল । যা ছিল ব্যর্থতার অন্যতম একটি কারণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা বেশকিছু কারণ সৃষ্টি হলেও এবং ভারতের রাজনীতিতে ইহা গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশি কিছু ত্রুটির কারণে এটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ১৯৪৬ সালে মন্ত্রিমিশনকে কেন্দ্র করে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে যে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয় তা ভারত | বিভক্তিকে ত্বরান্বিত করেছিল।