ভূমিকা : ঊনবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণা ও প্রাচ্য সমস্যার আবর্তে অটোমান তুর্কিদের গৌরব অতীতের নামান্তরে পরিণত হয়। প্রথম মহাযুদ্ধ (১৯১৪-১৮ খ্রিঃ) তুর্কি সাম্রাজ্যের উপর এক মারাত্মক আঘাত হানে। যে অটোমান সাম্রাজ্য এক সময় সমস্ত ইউরোপের ভীতির কারণ ছিল তা এখন একেভারে ভেঙ্গে পড়ল। প্রেসিডেন্ট উইলসন ও লয়েড জর্জের আশ্বাস সত্ত্বেও মিত্রশক্তি অটোমান সাম্রাজ্যের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা করল না; বরং সমগ্র তুরস্ককে গ্রাস করার আশঙ্কা দেখা দিল। দূরদর্শী কামাল সমসামরিক যুগের দর্পণে তুর্কি জাতীয়তাবোধকে প্রতিফলিত করে ইউরোপের রুগ্ন তুরস্ককে নব জীবন দান করেন।
→ কামাল আতাতুর্কের পরিচয় ও উত্থান : মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ছিলেন আধুনিক তুরস্কের জনক। কামাল আতাতুর্ক ম্যালোনিকার একটি কৃষক পরিবারে ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল ত্যাগ করে তিনি ম্যালোনিকার সামরিক একাডেমিতে যোগদান করেন। সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি উন্নতি লাভ করেন এবং তার মেধা ও কর্মদক্ষতার জন্য তাকে কনস্টান্টিনোপলের সামরিক একাডেমিতে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ সুলতান ছিলেন। কামাল আতাতুর্ক ওয়াতন নামে একটি গোপন সমিতি গঠন করেন, এর একটি শাখা দামেস্কে প্রতিষ্ঠা করেন। তার এ ‘ওয়াতন’ পরবর্তীতে Committed of union and progress এ রূপান্তরিত হয়। কামাল এর সভাপতি নির্বাচিত হন। এ কমিটির সাহায্যে ১৯২২ সালে তুরস্কে সাম্রাজ্যবাদের পরিবর্তে গড়ে ওঠে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্র। দেশপ্রেমিক মোস্তফা কামাল এ সাধারণতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ।
→ কামাল পাশার সংস্কার : তুরস্কের পরাধীনতার শৃঙ্খল হতে মুক্ত করে কামাল পাশা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটান। কামাল পাশা জার মহামতি পিটারের ন্যায় ইউরোপীয় পদ্ধতিতে তুরস্ককে পুনর্গঠন করতে চাইলেন। নতুন তুরস্কের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল হতে আঙ্কারায় স্থানান্তরিত হলো। তিনি তুরস্ককে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন সংস্কার সাধন করলেন ।
১. রাজনৈতিক সংস্কার : কামাল পাশা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার চালু করেন। সালতানাত ও খিলাফতের বিলোপ সাধন করে তিনি তুরস্কে সাধারণতন্ত্র কায়েম করেন এবং নিজে এর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কায়েম করেন। তাকে সাহায্য করার জন্য একটি মন্ত্রীসভা ছিল। ইসমত ইনানু ছিলেন এর মুখ্যমন্ত্রী এ মন্ত্রীসভা ছিল জাতীয় পরিষদের নিকট দায়ী। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রনীতির উপর ভিত্তি করে শাসনতন্ত্র রচিত হলো। জাতীয় সভা সংস্কার ও বর্ধিত করা হলো। জাতীয় সভার সদস্য ছিল ৪৮৭ জন এবং এ সদস্যগণ ২২ বছর বয়স্ক লোকের ভোটে নির্বাচিত হলেন। জাতীয় সভায় সদস্যদের মধ্য হতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। তিনি পুননির্বাচিত হতে পারতেন। তিনি জাতীয় সভার পক্ষে কার্যকর ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের প্রধান ও সৈন্য বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। ক্যাবিনেট ছাড়াও অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অন্যান্য বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি রাষ্ট্রীয় পরিষদ ছিল। এটি উপদেষ্টা পরিষদের কাজ করত। তার সময়ে ব্যক্তিগত বা শ্রেণিগত সুযোগ সুবিধার বিলোপ সাধন করা হয়। আইনের নিকট সকলেই সমান ছিল এবং কাউকেও বিনাবিচারে আটক রাখা হতো না কামাল সরকারের নিকট জনসাধারণের জান, মাল, ধর্ম প্রভৃতি নিরাপদ ছিল। এককথায়, রাজনৈতিক দিক দিয়ে তুরস্ক আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
২. অর্থনৈতিক সংস্কার : দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উপরই জাতীয় উন্নতি নির্ভর করে। কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের করে ক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিকল্পে প্রাচীন ক্যাপিচুলেশন প্রথা | বিলোপ করেন। এ প্রথার দ্বারা বিদেশীরা তুরস্কে সর্বপ্রকার হতো। সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারত। এছাড়া তিনি ঘৃণ্য মিল্লাত প্রথাও বিলুপ্ত করেন। মিল্লাত প্রথা তুরস্কের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি ছিল। এ প্রথানুযায়ী অমুসলমান প্রজাবর্গ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার লাভ করত। অর্থনৈতিক বিপ্লবের পদক্ষেপ স্বরূপ কামাল আতাতুর্ক কৃষি, কলকারখানা, ব্যবসা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন করেন। কৃষি প্রধান দেশ তুরস্কের উন্নতি ব্যবস্থা সাধনের জন্য কামাল আতাতুর্ক কৃষি বিপ্লব প্রবর্তন করেন। জমির উর্বরতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কামাল পানি সেচের সালে ব্যবস্থা করেন। কৃষি শিক্ষার প্রসারের জন্য আঙ্কারায় একটি কষি | ইস্তাম্বু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা। করেন। মধ্য তুরস্কের ৩৫০০০ বর্গমাইল পতিত জমি চাষের | প্রশি উপযোগী করা হয়। এর ফলে দেশে পর্যাপ্ত শস্য উৎপাদন হয় । একি এবং অতিরিক্ত শস্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে দরিদ্র কৃষকদের ঋণদানের ব্যবস্থা, কৃষি গবেষণা যাত দ্বারা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ১৯৩৭ সালে তুরস্কে central বিে উন্ন Bank প্রতিষ্ঠা করা হয়। কামাল আতাতুর্কের প্রচেষ্টায় তুরস্কে শিল্পায়ন শুরু হয়। বিভিন্ন শহরে কলকারখানা স্থাপিত হয়। কামাল আতাতুর্কের প্রচেষ্টায় তুরস্কে শিল্পায়ন শুরু হয়। বিভিন্ন শহরে কলকারখানা স্থাপিত হয়। ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণে তুরস্কের শ্রীবৃদ্ধি হয়। এভাবে তিনি তুরস্কের সামরিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
৩. সমাজ সংস্কার : কামাল পাশা সমাজ ব্যবস্থার এক বিরাট পরিবর্তনের সূচনা করেন। সামাজিক পরিবর্তনই হচ্ছে বিপ্লবের প্রকৃত ইঙ্গিত। মোস্তফা কামালের সামাজিক সংস্কারের ফলে তুরস্কের আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি নতুন দেওয়ানি আইন সুইস বোর্ডের প্রবর্তন করেন। এসব আইন প সংহিতায় সকল নাগরিকের পূর্ণসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে নারী মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রধান বাধা চূড়ান্তরূপে দূরীভূত হয়। নতুন দেওয়ানি আইন মহিলাদের কাজের অধিকার শিক্ষার অধিকার, ধ তালাক দেবার অধিকার দান করে এবং পুরুষদের বহু বিবাহ প্রথা রহিত করে। চিকিৎসা ও আইনসহ সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়। ধর্মীয় সংস্কারের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং নতুন তেজশক্তির প্রতীক হিসাবে ফেজ, টুপি পরিধান ও অবলুণ্ঠন প্রথার বিলুপ্তি ঘটল। আর ইউরোপের হ্যাট পরিধান বাধ্যতামূলক করা হলো। এছাড়া ১৯৩৫ সালে শুক্রবারের পরিবর্তে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করল ।
৪. আইন সংস্কার : ১৯২৪ সালের ২০ এপ্রিল কামাল | আতাতুর্ক যথাক্রমে তিনটি আইন পাশ করেন। এর একটি ধারা ইসলামের বহু প্রাচীন খিলাফত বিলুপ্ত করেন। দ্বিতীয়টি ধারা ওয়াকফ বিধি ও জাতীয় বিভেদ বন্ধন ভঙ্গ করেন এবং তৃতীয়টি দ্বারা মাদ্রাসাগুলোর দায়িত্ব ইসলামের পরিবর্তে অন্যান্য শিক্ষা । প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষা বিভাগের ওপর অর্পণ করেন।
৫. শিক্ষা সংস্কার : শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এ সত্য উপলব্ধি করে কামাল পাশা শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। এতদিন পর্যন্ত তুর্কি বালকদেরকে শুধু ধর্মীয় শিক্ষাই দেয়া হতো। কামাল পাশার সরকার ধর্মীয় বিদ্যালয়ের বিলোপ সাধন করে অনেকগুলো ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন । এবং শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে দেন। তুর্কি ভাষার পাশাপাশি আরবি পাঠ অবশ্য করণীয় ছিল। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে কোন প্রভেদ ছিল না। প্রতি বছর উচ্চতর শিক্ষার জন্য সরকার বৃত্তি ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। কর্মক্ষম ও মেধাবী ছাত্রদের নির্বাচিত করেন এবং বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠাতেন। তিনি ১৯৩৫ সালে আঙ্কারাতে একটি নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ব বিদ্যালয় দুটি উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে। তুরস্কের আইন অনুসারে প্রত্যেক যুবকের তিন বছর সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল। এটি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার একটি অন্যতম অঙ্গ ছিল ।
৬. যাতায়াত ব্যবস্থার সংস্কার : মোস্তাফা কামাল পাশা যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধন করে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি সাধন করেন। রেলপথ স্থাপন ও বিস্তার ছিল এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সামরিক ও বাণিজ্যিক রেলপথসমূহ প্রকৃতপক্ষে তুরস্কের জন্য ছিল কল্যাণকর। আনথেবেসিক নামক ৮০ মাইল পর্যন্ত রেলপথটি ৩০ লক্ষ তুরস্ক পাউন্ড ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এছাড়া তিনি পুরাতন রাস্তাঘাট মেরামত করেন।
৭. শিল্প ব্যবস্থা : তুরস্কের শিল্পায়ন শুরু হয় কামাল আতাতুর্কের মাধ্যমে। তিনি বিভিন্ন শহরে শিল্প কারখানা স্থাপন করেন। বাশাবাকাশাতে কাচের, কায় সায়িওতে কাপড়ের, আমামিতে কাগজের, বাসেলিয়াতে তুলার, বারজারেটে পশমের কারখানা স্থাপিত হয়। এছাড়া খনিজ পদার্থ আবিষ্কারের মাধ্যমে তুরস্কের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তুরস্কের শ্রীবৃদ্ধি পায় । আর তুরস্কে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়।
৮. প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা : তুরস্ককে রক্ষা করার জন্য কামাল পাশা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী করেন। ফলে উন্নত ধরনের সামরিক শিক্ষা দ্বারা তুর্কি স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী গঠিত হয়। তিনি নৌবাহিনীর আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় নতুন সমরপোত নির্মিত হয়। এছাড়া নতুন নতুন জাহাজও নির্মিত হয়। ফলে তুর্কি বাহিনী বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর মর্যাদা লাভ করে।
৯. ল্যাটিন বর্ণমালার ব্যবহার : ১৯২৮ সালে তুরস্কে আরবি বর্ণমালার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে তিনি ল্যাটিন বর্ণমালাকে সরকারি বর্ণমালা হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে এক আইনের বলে বাইজান্টাইন কনস্টান্টিনোপলের বদলে তুর্কি ইস্তাম্বুল, গ্রিক আদ্রিয়ানোপলের পরিবর্তে ইউরিন, স্বর্ণার বদলে ইজমির এবং মারো নাম নতুন আকারে রূপান্তরিত হয়। ১৯৩২ সালের জুলাই মাসে কামাল আতাতুর্ক তুর্কি ভাষা সংক্রান্ত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ১৯৩৫ সালের এক বিজ্ঞপ্তিতে তুর্কিদেরকে ইউরোপীয় উপনাম গ্রহণ করার অনুমোদন দেয়া হয়।
→ তুরস্কের জনক হিসেবে কামাল পাশা : কামাল তুরস্ককে সাম্রাজ্যবাদী করাল গ্রাস এবং নিজ দেশীয় শাসকদের অত্যাচার এ হতে শুধু উদ্ধারই করেননি বরং যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও বিদেশি শোষণে পর্যদুস্ত তুরস্ককে একটি শক্তিশালী আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তুরস্কের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আনয়ন নি করেন। তার সংস্কারের ব্যাপকতা সবদিকে ছিল। কোন দিক এবং কোনো বিভাগই তার সূক্ষ্ম দৃষ্টির বহির্ভূত ছিল না। তার অ গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্বের কথা বিবেচনা করেই তাকে তুরস্কের প্র পিতা (Father of Tourkey) উপাধিতে ভূষিত করা হয় ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কামাল আতাতুর্ক তার জ বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে তুরস্ককে একটি আধুনিক ইউরোপীয় ও রাষ্ট্রে পরিণত করেন। ‘তার মূল মন্ত্র ছিল তুর্কি হও, মুসলমান হও এবং আধুনিক হও'। নারী স্বাধীনতা তাকে প্রাচ্য নৃপতিদের মধ্যে জ শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে। তবে ঐতিহাসিকরা তার প্রতি বিরূপ মন্তব্য হ করেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তুর্কি জনগোষ্ঠী তাকে স্বীকার করে বি · নিয়েছে আতাতুর্ক হিসেবে। তাই নিরপেক্ষভাবে যদি কামালকে বিচার করতে হয়, তাহলে তার দেশবাসীর মন্তব্যই প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ দেশবাসী তার যথার্থ বিচারক। মোস্তফা কামাল তার ব দেশকে ভালোবেসেছিল, ভালোবেসেছিলেন তার জাতিকে ।