ভূমিকা : ১৯০৮ সালে নব্য তুর্কি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এর সূত্রপাত শুরু হয়েছিল মেসিডোনিয়ার দেশের মেলোনিকা শহরে। এই আন্দোলনের ফলে নব্য তুর্কিরা তুরস্কের ক্ষমতায় আরোহণ করেন। যারা এই আন্দোলনের সাথে জড়িত | ছিল তারা নব্য তুর্কি বা যুব তুর্কি নামে পরিচিত। ইউরোপীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি তুরস্কে চালু করার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। মূলত এ সংস্কারপন্থিরাই নব্য তুর্কি নামে পরিচিত ।
→ নব্য তুর্কিদের পরিচয় : আধুনিক তুরস্কের অগ্রপথিক হচ্ছে নব্য তুর্কিরা। তুর্কি ভাষায় নব্য তুর্কি শব্দের অর্থ হলো Hrriyet বা কার স্বাধীনতা। আর তার ভাবার্থ হলো দাসত্বের পরিবর্তে নাগরিক তা স্বাধীনতা। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মুহাম্মদ বে ও নামিক কামালের নেতৃত্বে তুরস্কে শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য একটি দল গঠিত হয়। এ দলের সদস্যদের নব্য বা তরুণ তুর্কি নামে অভিহিত করা হয়। তারা বিদেশে শিক্ষা লাভ করে এবং পাশ্চাত্য ভাবধারায় গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন শুরু করে। ঐতিহাসিকদের মতে, তানজিমাত যুগের যেসব যুবক আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন বিশেষ করে ফারসি জানতেন এবং পাশ্চাত্য ধরনের পোশাক পরিধান করতেন তারাই নব্য তুর্কি নামে পরিচিত।
উপসংহার : উল্লিখিত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, নব্য তুর্কিরা হলো যে সমস্ত যুবক, যারা তুরস্ককে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে চেয়েছিল এবং নিজেদের দেশে ইউরোপীয় শিক্ষা সংস্কৃতি প্রবর্তন করতে চেষ্টা করেন। এসব নব্য তুর্কিরাই পরবর্তীতে তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু সে ক্ষমতা তারা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। মূলত তারা সুলতানের একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটাতে এবং শাসনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে নব্য তুর্কি আন্দোলন সূচনা করেছিল।