ভূমিকা : সাইমন কমিশন ১৯২৭ সালে শুরু হয়ে ১৯৩০ ন সালের জুন মাসে গঠিত হলেও ভারতীয়দের সম্পূর্ণ দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়। ভারতের শাসনতান্ত্রিক অবস্থার পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করে ৭ সদস্যের সাইমন কমিশন ।
→ কমিশনের পাঁচটি সুপারিশ : নিম্নে সাইমন কমিশনের পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরা হলো :
১. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদ : সাইমন কমিশন রিপোর্টে ভারতবর্ষে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠনের কথা ব্যক্ত করা হয়। যার একটি কক্ষের নাম যুক্তরাষ্ট্রীয় সভা এবং অন্য আরেকটির নাম রাষ্ট্রীয় সভা হওয়ার কথা বলা হয় ।
২. যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান : ভারতের সামগ্রিক উন্নতির দিকে দৃষ্টি রেখে ব্রিটিশ ভারত ও দেশীয় রাজ্যগুলোর সমন্বয়ে একটি সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠনের সুপারিশ করা হয় এবং এর সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতির হওয়ার কথা বলা হয় ।
৩. নতুন প্রদেশ : উক্ত কমিশনের সুপারিশসমূহে নতুন প্রদেশ স্থাপনের কথা তুলে ধরা হয়। যেখানে সিন্ধু ৪. গভর্নরের ক্ষমতা : গভর্নর জেনারেলের উপর ভারত সরকারের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকার বিষয়টি সাইমন কমিশন রিপোর্টে তুলে ধরা হয়। এভাবে গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতায় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশসমূহে ব্যক্ত করা হয়।
৫. দ্বৈতশাসন বিলুপ্তি : প্রদেশসমূহের শাসনব্যবস্থা থেকে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার বিলোপসাধন করে প্রদেশসমূহে দায়িত্বশীল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়। যেখানে বলা হয় প্রাদেশিক শাসনমন্ত্রীদের উপর ন্যস্ত হবে এবং তারা আইন পরিষদের নিকট দায়িত্বশীল থাকবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্য না থাকার কারণে উক্ত কমিশন ভারতীয়দের নিকট জনপ্রিয়তা পায়নি। ফলে পরবর্তীতে সাইমন কমিশন ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হয়। যদিও সাইমন কমিশন ভারতীয় শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।