ভূমিকা : স্বদেশি আন্দোলন ব্রিটিশ ভারতের মুসলিমরা রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি ছিল ভারতের সমাজের | স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অংশ। স্বদেশি আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারত থেকে তাদের উচ্ছেদ সাধন এবং দেশের বঙ্গভঙ্গ | সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। স্বদেশি আন্দোলনের র স্বার্থে মুখ্য প্রবক্তাগণ ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীর বঙ্গভঙ্গ সাভারকর, বাল গঙ্গাধর তিলক ও লালা লাজপত রায়
→ স্বদেশি আন্দোলন : ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বদেশি আন্দোলনের উদ্ভব ও বিকাশ তাদের ঘটে। সরকারিভাবে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। তখন থেকেই ব্রিটিশ পণ্যসামগ্রী বয়কট ও স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য নিয়ে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে ইতিহাসে তা স্বদেশি আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। এই আন্দোলনের দুইটি দিক নিয়ে কর্মসূচি চালু করা হয়। প্রথমটা হলো সকল প্রকার বিলিতি পণ্য বর্জন করা। দ্বিতীয়টা হলো স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পের প্রসার ঘটানো। এই আন্দোলনের ইতবাচক দিক হিসেবে স্বদেশিকতার উত্থান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জনগণের মধ্যে স্বদেশি পণ্য ব্যবহার ও স্বদেশের প্রতি মমত্ববোধ জাগ্রত করতে এই আন্দোলনের ভূমিকা ছিল। স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল । বাংলার বাইরেও এই আন্দোলন তিক | ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বঙ্গভঙ্গ প্রবর্তনের পরই স্বদেশি আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিকল্প স্বদেশি পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের ভঙ্গ বিকাশ। যার কারণে জনগণ বিলিতি পণ্যসামগ্রী বর্জন করে হয়।